পুরস্কার নয়, মনের ক্ষুধা মেটাতেই অভিনয়: আবুল হায়াত
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক পেলেন দেশের ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৫ সালের একুশে পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য একুশে পদক ২০১৫ গ্রহণ করলেন দেশের ১৫ বিশিষ্টজন।
সবার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক গ্রহণ করেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্যকার ও পরিচালক আবুল হায়াত। প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং সম্মাননায় সাক্ষাতকারে ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
: রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক প্রাপ্তিতে আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা-
আবুল হায়াত: ধন্যবাদ। পরিবার, স্বজন, সুহৃদ, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীগণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আপনাদের মাধ্যমে সকলকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
: একজন আবুল হায়াত এবং একুশে পদক-
আবুল হায়াত: আমি আনন্দিত। সকলের ভালোবাসা পেয়েছি, সম্মান পেয়েছি। একুশে পদকের মাধ্যমে দেশ আমায় যে সম্মান জানালো- আমি আপ্লুত। আমরা যে ক্ষেত্রে কাজ করছি অর্থাৎ বিনোদন- সংশ্লিষ্ট সকলেই এ পদক প্রাপ্তিতে অনুপ্রাণিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
: শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্যই আজকের এই সম্মাননা। শিল্পের পথে যাত্রায় ব্যক্তিগত অভিমত কি?
আবুল হায়াত: খুব ছোটবেলা থেকেই এ পথে হাঁটতে শুরু করি। কোন বিশেষ শাখা নির্ধারণ না করেই সকল শিল্পচর্চায় অংশ গ্রহণ করতাম। কোন পুরস্কার কিংবা প্রাপ্তির আশায় নয়, মনের ক্ষুধা মেটাতেই মূলত অভিনয়, নাটক, নাট্যচর্চা, সামাজিক শিল্প আন্দোলন করতাম। কখন যে রক্তে মিশে গেছে, বুঝিনি। এরপর শিল্পচর্চা পরিণত হল নেশায়। একটা সময় তা রূপান্তরিত হল পেশায়। আমার নেশা ও পেশার এই স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জাতির কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
: পদক প্রাপ্তি একজনের কিন্তু অর্জন আপনার এবং-
আবুল হায়াত: আমার এই পদক প্রাপ্তির আনন্দ শুধু আমার একার নয়। যাদের জন্য আজকের এই আমি, তাদের সকলের। পরিবার, বন্ধু এবং কাছের মানুষদের কাছে আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ। আমাকে বিশ্বাস করার জন্য, আমার আনন্দ ভাগ করার জন্য।
: সম্মাননা অর্জনের পরবর্তী ভাবনা কি?
আবুল হায়াত: দ্বায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। আমার এই অর্জনে অনেকে অনুপ্রাণিত হবে। আবার আমাকেও দেশের জন্য, দেশের মানুষদের জন্য অনেক কিছু করতে হবে। বিশেষ করে আমার যে বয়স, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমার অভিজ্ঞতা পৌঁছে দিতে হবে। তাদের জন্য ভালো কাজের গাইডলাইন তৈরী করে রেখে যেতে হবে।
: আপাতত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
আবুল হায়াত: বেশ কিছু কাজের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু বিভিন্ন কারণে বাস্তবায়ন হয়নি। নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কাজ গুলো শুরু করবো। চলচ্চিত্রের পরিকল্পনা করেছি বেশ আগে থেকেই। অচিরেই কাজ শুরু করবো।
প্রতিক্ষণ/এডি/আকিদ,সূত্র: বাংলামেইল২৪ ডটকম.